শীঘ্রপতন বন্ধ করার হোমিওপ্যাথি ঔষধ কি
প্রিয় পাঠক আপনাদের অনেকের জানা নেই শীঘ্রপতন বন্ধ করার হোমিওপ্যাথি ঔষধ সেই সম্পর্কে বিস্তারিত। তাই আপনার ও যদি এমন প্রশ্ন থাকে তাহলে আমার আজকের এই আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন। কেননা আমার আজকের এই আর্টিকেল এর মূল বিষয় হলো শীঘ্রপতন বন্ধ করার হোমিওপ্যাথি ঔষধ নিয়ে আমার এই বিস্তারিত আলোচনা।
তো আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে চলুন শুরু করা যাক শীঘ্রপতন বন্ধ করার হোমিওপ্যাথি ঔষধ নিয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।আমার এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি আরো ভালো করে জানতে পারবেন শীঘ্রপতন বন্ধ করার হোমিওপ্যাথি ঔষধ সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।
পেজ সূচিপত্রঃ শীঘ্রপতন বন্ধ করার হোমিওপ্যাথি ঔষধ
- শীঘ্রপতনের হোমিওপ্যাথি ঔষধ
- শীঘ্রপতন এর আয়ুর্বেদিক প্রতিকার
- দ্রুত বীর্য পাতের ঘরোয়া চিকিৎসা
- শেষ কথা শীঘ্রপতন বন্ধ করার হোমিওপ্যাথি ঔষধ
শীঘ্রপতনের হোমিওপ্যাথি ঔষধ
যে সমস্ত পুরুষদের অত্যন্ত দ্রুত বীর্যপাত হয় যে সকল পুরুষ দীর্ঘ সময় ধরে স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করতে পারে না বা আনন্দ মুহূর্ত গুলো উপভোগ করতে পারেনা তাদের জন্য এই সেগুলো শীঘ্রপতন ঔষধ টি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়ং। এই ঔষধের কিছু নাম ও এর কার্যকারিতা নিচে লেখা হলো ঃ
- Titanium 3x - সঙ্গম শক্তির দুর্বলতা , আবার সঙ্গম কালীন সময়ে অতি দ্রুত স্থলন হয়।
- Bufo Rana 200 - এই ঔষধ এর কাজ হস্তমৈথুন এর প্রবল ইচ্ছা এবং সহবাস চলাকালীন সময়ে শীঘ্র শীঘ্র শুক্র স্থলন।
- Ca;carea Carb 200 - তবে সম্পন্ন ভাবে লিঙ্গ উত্থান হয় না , তবে সহবাসের পর মাথা ঘোরে।
- Nupher Luteum Q - কামোদ্দীপক কথায় বা সামান্য পরিমাণ উত্তেজনাতে শুক্র ক্ষয়।
- Dioscorea 200 - আবার আপনার যদি এক রাতের মধ্যে দুই থেকে তিন বার স্বপ্নদোষ , পরের দিন শরীর এবং হাটুতে বিন্দু মাত্র বল থাকে না।
তবে অবশ্যই এই ঔষধ গুলো সেবন করার পূর্বে চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন। কারণ আপনার সমস্যা অনুযায়ী আপনার ঔষধ পরিবর্তন করা হতে পারে।
শীঘ্রপতন এর আয়ুর্বেদিক প্রতিকার
শীঘ্রপতন এমন একটি পরিস্থিতি যেখানে আপনি যৌন তার শীর্ষ বিন্দুতে পৌঁছে যান। এই
শীঘ্রপতন এর সময় পূর্বে যা প্রাথমিক নির্গমনের কারণ , সেক্সের এক মিনিট এর ভেতরে নির্গত হওয়া হিসাবে করা হয়। এই আয়ুর্বেদি ক চিকিৎসা শীঘ্রপতনের জন্য ভালো বিচার করা হয় এবং সব রকম লক্ষণের প্রতিকার করা সম্ভব।
সময় পূর্বে নির্গত হওয়ার প্রতিভারের জন্য এই আয়ুর্বেদি চিকিৎসার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তালিকা নিচে দেওয়া হল ঃ
- আহারে পরিবর্তন ঃ শীঘ্রপতন এর চিকিৎসার জন্য আয়ুর্বেদিক সিদ্ধান্তের অনুসরণে , আপনার আহারের পরিবর্তন আনা অত্যাবশক। আপনাকে অবশ্যই এই জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমন ঃ সবজি , মাছ, কলা , বাদাম , স্যলাড , সেলফিশ এবং সবজি জাতীয় হল মৌরি , পিঁয়াজ এবং জোয়ান। তবে মধু অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য এবং এই মধুকে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। আবার কিছু খাবার এবং বিকৃত খাদ্য পদার্থ সেবন করা থেকে আপনাকে অবশ্যই থাকতে হবে। সেই খাদ্য এবং খাদ্য পদার্থ হলঃ কফি, চা, অ্যালকোহল, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য ও অতিরিক্ত সাদা চিনি সহ সাদা আটা যুক্ত খাবার।
- আয়ুর্বেদিক মালিশ ঃ আপনি এই শীঘ্রপতনের চিকিৎসার জন্য এক বিশেষ ধরনের পাতা একত্র করে আয়ুর্বেদিক। তবে এই পদ্ধতিকে বলা হয় এলাকিজী।
- কেশর এবং দুধ ঃ এই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় দুধকে অনেক জরুরী উপাদান ধরা হয়। চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই দুধ অত্যন্ত প্রভাবশালী। আপনি চাইলে, রাতে বাদাম ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে গরম দুধের সাথে সেই বাদাম দিয়ে তা সেবন করুন দেখবেন অনেক উপকার এ আসবে। আবার এর মধ্যে আপনি এলাচ এবং আদা ও মিশাতে পারেন।
- যোগব্যায়াম ঃ আপনার সময় আগে নির্গত হওয়ার চিকিৎসার জন্য নিয়মিত যোগাসন করা অত্যাবশক। অনেক রকম যোগাসন আছে যেমনঃ অসঙ্গ আসন, মাছলি এবং মৎস আসন সহ হল আসন করতে পারেন। এই আসেন গুলো শীঘ্র পতনের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
- ভেষজ ঃ ভেষজ যেমন অশ্বগন্ধা, বালা এবং বিদরি এর সমান এর সমান ভাগ গরম দুধের সাথে মিশিয়ে তা সেবন করলে এটার অনেকটা উপকার পাবেন। এটা শীর্ঘ পতনের চিকিৎসায় অত্যান্ত সাহায্যে করে। এর মধ্যে রয়েছে স্পিমনের চেসনাট, অ্যাসপারাগাস, জৌতি ফলা, রসুন এবং ড্রামস্টিক্স আছে।
এইরকম স্থিতির জন্য একটি আয়ুর্বেদিক প্রতিকার শুরু করার আগে অবশ্যই একজন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।
দ্রুত বীর্য পাতের ঘরোয়া চিকিৎসা
তলপেটের পেশি গুলোকে শক্ত মজবুত এবং দৃঢ় করতে পারলেই আপনার সহবাহ করার সময় অনেক বৃদ্ধি পাবে। যেমন ঃ কেগেল, ইড়া পিঙ্গালা নাড়ির ব্যায়াম। তবে আপনি যদি কেগেল ব্যায়াম আপনার জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকারী। আপনি এই কেগেল ব্যায়াম যে ভাবে করবেন ঃ
- ঢিলাঢালা কোন কাপড় পরিধান করে সমান জায়গায় বা বিছানার ওপর চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন।
- এরপর আস্তে আস্তে কোমর বিছানার সাথে লাগিয়ে দুই পা আস্তে আস্তে এর সঙ্গে উপরে তুলুন।
- পা ওপরে তোলার সময় আপনার দুই হাত বিছানার ওপর টান করে লাগিয়ে রাখবেন।
- এবার দশ সেকেন্ড ধরে রাখার পর দুই পা আস্তে আস্তে নামান।
- এরপর ঠিক একই ভাবে পা উপরে তুলুন এবং নামান।
এভাবে ২০ বার ব্যায়াম করলে শীঘ্রপতন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ কৃমির ট্যাবলেট খেলে কি বাচ্চা নষ্ট হয়?
শেষ কথা শীঘ্রপতন বন্ধ করার হোমিওপ্যাথি ঔষধ
প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষণ পড়ছিলেন শীঘ্রপতন বন্ধ করার হোমিওপ্যাথি ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত। আশা করি আমার আজকের এই পোষ্টটি পড়ে আপনার উপকারে আসবে। আমার এই ওয়েব সাইট এ আপনাদের জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য নিয়ে বাংলা আর্টিকেল লিখে আসছি। আমার এই পোষ্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুর কাছে শেয়ার করতে পারেন। আর যদি নতুন কোনো বিষয়ে তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এতক্ষণ আমার এই পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবান।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url