মেরুদন্ডের হাড় ক্ষয়ের লক্ষণ প্রতিকার

সম্মানিত প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন। তবে আপনাদের মধ্যে অনেকের শরীরে মেরুদন্ডের হাড় ক্ষয়ের বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দিচ্ছে তবে এই বিষয় নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আমাদের আজকের আর্টিকেল টি মেরুদন্ডের হাড় ক্ষয়ের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। হাড় খায় একটু জটিল সমস্যা বর্তমান সময়ে এই মেরুদন্ডের হাড় ক্ষয় স্যামসায় অনেকেই ভুগছেন দীঘ দিন থেকে যদি এই স্যামসা আপনার শরীরে হয়ে থাকে তাহলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের বিপদ বড় ধরনের বিপদ হওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়।

মেরুদন্ডের হাড় ক্ষয়ের লক্ষণ প্রতিকার


যদি আপনি শুরুতে হাড় ক্ষয়ের স্যামসা বুঝতে পাড়েন তাহলে পরে হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার হাত থেকে মুক্তি পেতে পাড়েন৷ বিভিন্ন ডাক্তারা হাড় ক্ষয় সম্পর্কে বলেন হাড়ের ক্ষয়ের রোগ হচ্ছে এমন একটি রোগ যা হাড়ের ঘনত্ব নির্দিষ্ট মাত্রায় কমে যাওয়ায় হাড় ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে থাকে। এতে হাড়ের ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমে যায় আরে যে স্বাভাবিক গঠন থাকে সেটা নষ্ট হয়ে গিয়ে হাত দুর্বল হয়ে পড়ে যার ফলে সামান্য আঘাতে আয় ভেঙ্গে যেতে পারে। প্রিয় পাঠক আপনারা সাধারণ একটা ধারনা পেলেন যে হাড় ক্ষয় কি ও কেনো হয় তাহলে এবার চলুন আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট না করে হাড় ক্ষয় ও এর প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। 

সূচিপত্র : মেরুদন্ডের হাড় ক্ষয়ের লক্ষণ প্রতিকার

  • হাড় ক্ষয় কি 
  • হাড় ক্ষয় এর কারন 
  • হাড়ের ক্ষয় এর ফলে শারীরিক স্যামসা 
  • শেষ কথা - হাড় ক্ষয়ের আধুনিক চিকিৎসা ও প্রতিকারন 

হাড় ক্ষয় কি

হাড় ক্ষয় বলতে আমরা বুঝি হাড়ের সাধারণ অবস্থা থেকে কোনো কারনে ক্ষয় হতে থাকা যা পরবর্তিতে আমাদের শরীরে আনেক বড় স্যামসা আকারে দেখা দিতে পারে।যাদের শরীরে হাড় ক্ষয় হতে থাকলে হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া কে বোঝায়। এ আবস্থায় হাড় অনেকটা মৌচাকের মতো ঝাঁজরা ও ফুলকো হয়ে থাকে । আর হাড়ে হালকা আঘতে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়। আমাদের বয়স ৫০ বাড়ার পর থেকে এই হাড় ক্ষয় এর লক্ষন গুলো দেখা দিতে থাকে৷ 



কারো কারো শরীর যদি ক্যালসিয়াম এর আভাব থাকে তাদের ৫০ বছর বয়সের আগে থেকেও এই লক্ষন দেখা দিতে পারে। যাদের হাড় ক্ষয়ের ঝুকি বেশি তাতের হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে। আবার নারী৫ ৬রদের ক্ষেএে পিরয়ডের পর হাড় ক্ষয়েরর ঝুকি থেকে যায়। তখন নারীদের খুব সাবধানে থাকতে হয়। আসলে হাড় ক্ষয় নির্ভর করে মানুষের ক্যালসিয়াম এর উপর মানব দেহে যদি পর্যান্ত পরিমানে ক্যালসিয়াম না থাকে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি সে ব্যাক্তি হাড় ক্ষয়ের মতো স্যামসা গুলোর সনমুখিন হতে পারে। 


হাড় ক্ষয় এর কারন

অস্টিওপোরোসিস হলো হাড় ক্ষয় হওয়া রোগ। এই রোগ টি হলে সহজে হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। বিশেষজ্ঞ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে বিশেষ করে নারী দের এই অস্টিওপোরোসিস বা হাড় ক্ষয় স্যামসা টা বেশি হয়ে থাকে। 


যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অস্টিওপোরোসিস ফাউন্ডেশনের গবেষণায় জানা গেছে মোট অস্টিওপোরোসিস রোগীর মধ্যে ৮০ % হলো নারী। অস্টিওপোরোসিস কিন্তু অনিবার্য রোগ নয়, জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন এনে এ রোগের ঝুকি কমানো যায় । শুধু মাএ ক্যালসিয়ামের অভাব নয় কিছু নিরীহ ও প্রতিদিনের বদ অভ্যাসও অস্টিওপোরোসিসের রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাহলে চলুন হাড় ক্ষয় এর কয়েক টি নিদিষ্ট কারন জেনে আসা যাকা 


১. দীঘ সময় বসে থাকা - আমাদের মধ্যে এমন আনেকেই আছেন যে জীবনযাপন ক্ষেত্রে দীঘ সময় একই জায়গায় আনেক সময় বসে থাকতে হয়। আবার দেখা গেছে এই একই আবস্থাতে আনেক গুলো বছর চলে যায় শেষ পর্যায় গিয়ে বিভিন্ন শারিরীক স্যামসা দেখা দেই তার মধ্যে হাড় ক্ষয় আন্যতম। দীঘ সময় এক জায়গায় বসে থাকলে আমাদের পেশি গুলো হাড় গুলো অচল আবস্থায় পড়ে থাকে আর কি হাটাহাটি করা একটু দোড়, ঝাপ পাড়া বিভিন্ন খেলাধুলা করা ইত্যাদি করলে হাড় গুলো স্বচল থাকে ও এই স্যামসা থেকে আনেক টা নিস্তার পাওয়া যায়। 


উচ্চ প্রটিন যুক্ত খাবার - অতিরিক্ত প্রটিন যুক্ত খবার খেলে আমাদের দেহের হাড়ের মারাক্তক ক্ষতি হতে পারে। তাই আমাদের নিয়মিত খাদ্য তালিকা তৈরি করে খাবার খেতে হবে আর যারা এই খাদ্য তালিকা না মেনে খাবার খাই ও আধিক মাংস খাই তাদের হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া সম্ভব থাকে। গবেষনায় দেখা গেছে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পুষ্টি গ্রহণ করলে হাড়ের ক্ষতি হতে পারে। প্রোটিনের যুক্ত খাবার খেলে কিডনি গুলো শরীর থেকে বেশি করে ক্যালসিয়াম বের করে । কিন্তু এ দিকে ক্যালসিয়াম হাড় গঠনের অন্যতম প্রধান উপকরণ তাই এটি কমে গেলে হাড়ের খনিজ ঘনত্বও কমে যায় ও হাড় দুর্বল হয়ে থাকে।


অতিরিক্ত লবন খাওয়া - হাড় ক্ষয়ের আরেক বড় কারন হলো অতিরিক্ত পরিমানে লবন খাওয়া। অতিরিক্ত লবন খেলে রক্ত চাপ বৃদ্ধি পাই। যেহেতু কিডনি গুলো শরীর থেকে লবণ বের করে দিতে কাজ করে থাকে, তাই রক্ত প্রবাহ থেকে ক্যালসিয়ামও দূর হয়ে যায়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, চল্লিশোর্ধ্ব যেসব নারী বা পুরুষ উচ্চ পরিমাণে লবণ খেতেন তাদের মধ্যে ফ্র্যাকচারের হার লবণে অনাসক্ত নারী পুরুষ দের তুলনায় চারগুণ বেশি। তাই শেষ বয়সে হাড়ের সমস্যায় জর্জরিত হতে না চাইলে আপনি পরিমান বাদে লবণ খাচ্ছেন কি না খেয়ালে রাখুন।


রোদ এরিয়ে চলা- আমাদের মধ্যে এমন আনেকে আছে রোদ সহ করতে পারে না। কিন্তু আমাদের এটা ভুলে গেলে চলবে না যে শরীরে ক্যালসিয়ামের শোষণ ও ব্যবহার সফল করতে ভিটামিন ডি প্রযোজন হয়। ক্যালসিয়াম ব্যতীত মজবুত হাড় তৈরি হয় না , কারণ এটা হলো হাড় গঠনের অন্যতম প্রধান উপকরণ হিসেবে কাজ করে থাকে ।শরীর পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি না পেলে ক্যালসিয়াম থেকেও বঞ্চিত হয়, যার প্রভাব পড়ে হাড়ে তাই ভিটামিন ডি প্রাকৃতিক ভাবে পাওয়া যায় রোদে।তাই আমাদের কিছু সময় হলেও রোদে থাকা দরকার। 


হাড়ের ক্ষয় এর ফলে শারীরিক স্যামসা 


হাড় ক্ষয়ের ফলে আনেক শারীরিক স্যামসা হয়ে থাকে তার মধ্যে কিছু স্যামসা গুলো বেশি হয়ে থাকে সে গুলো হলো হাড়ের গঠন ও ক্ষয়ের স্বাভাবিক ভারসাম্য গুলো নষ্ট করে দেই। মহিলাদের ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেন এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন হরমোনের অভাব দেখা দেই। সাধারন্ত থাইরয়েড এবং প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থিজনিত সমস্যা। অপর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’ গ্রহণ না করা। জেনেটিক বা বংশানুক্রমিক রোগ যেমন- হাড়ের ক্যান্সার ইত্যাদি হয়ে থাক৷


তা বদে হাটাচলাচল করতে অসুবিধা হয়। কোনো ভারি জিনিস তুলতে মাজাতে কোনো প্রকার বল পাওয়া যায় না। হাড় ক্ষয়ের ফলে স্বাভাবিক ভাবে একটা মানুষ হাটতে পারে না। আনেক সময় আছে যদি আপনি আপনার হাড় ক্ষয়ের চিকিৎসা না করিয়ে থাকেন তাহলে ভবিষ্যতে আপনি পঙ্গু হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থেকে যায়। তাই আমাদের শরীর হাড় ক্ষয়ের স্যামসা দেখা দিলে যতো দুরুত্ব সম্ভব তার চিকিৎসা করা প্রয়োজন। 


শেষ কথা - হাড় ক্ষয়ের আধুনিক চিকিৎসা ও প্রতিকারন 


সঠিক সময়ে হাড় ক্ষয় চিকিৎসা না নিলে দেহের বিভিন্ন অংশের হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক বিবেচনায় দুঃসহ জীবনযাপন করতে হতে পারে । বিশ্বজুড়ে প্রতি পাঁচজনে একজন রোগী হাড় ভাঙার প্রায় এক বছরের মধ্যে মারা যায়। কাজেই হাড় ক্ষয় চিকিৎসা প্রয়োজনীয়তার দিকে আমাদের সচেতন হওয়া জরুলি। জীবনযাত্রার সঠিক নিয়মগুলো আমাদের মনে চলা জরুলি।নিয়মিত ব্যায়াম করা ও হাটা চলাচল করা। ধূমপান ও অ্যালকোহল আভ্যাস থাকলে তা বর্জন করা। শরীরে ওজন কমাতে হবে , ফাস্টফুড ও চর্বিজাতীয় খাদ্য কম খাওয়া। 


তাহলে্র সন্মানিত পাঠকবৃন্দ আশা করি আপনারা সবাই আরটিকেল টি পুরোপুরি পড়ছেন। এই আর্টিকেল টি পরে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। আর্টিকেল টি পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হন তাহলে আমাদের লেখা সার্ধক হবে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url