অপুষ্টি ও অতি পুষ্টি শারীরিক লক্ষণ

অপুষ্টি বলতে আমরা বুঝি যে আমাদের শরীরে যে পরিমাণ পুষ্টি উপাদান দরকার আমাদের শরীর কে স্বচল রাখার জন্য সুস্থ রাখার জন্য তা নিদিষ্ট পরিমানে মানব দেহে না থাকাকে বা এর আরেকটা সঙ্গা হলো পুষ্টি জাতীয় খাবার না খাওয়ার ফলে শরীর যে পুষ্টি ঘাটতি হয় সে আবস্থাকে অপুষ্টি বলে। অপর দিকে অতি পুষ্টি অপুষ্টির বিপরীত অতি পুষ্টি বলতে আমরা বুঝি আমাদের শরীর অনুযায়ী অধিক পরিমান পুষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহণ করার মাধ্যমে দেহের মধ্যে যে অতিরিক্ত পুষ্টি উৎপাদান হয় এবং তা সঞ্চয় হয়ে থাকে তাকে আতি পুষ্টি বলা হয়।

অপুষ্টি ও অতি পুষ্টি শারীরিক লক্ষণ

এক কথায় আমরা আতি পুষ্টি বলতে বুঝি, কোনো কারেনে শরীর যদি প্রয়োজনের চেয়ে প্রায় তিন থেকে চার গুণ বেশি পুষ্টি উৎপাদান তাকে অতি পুষ্টি বলে। আজকে আমরা অপুষ্টি ও অতি পুষ্টি ফলে যে সব শারীরিক স্যামসা গুলো হয় সে বিষয়ে আলোচনা করবো চলুন আজকের আর্টিকেল টা শুরু করা যাক। 

সূচিপত্র: অপুষ্টি ও অতি পুষ্টি শারীরিক লক্ষণ

  • অপুষ্টি ও অতি পুষ্টি শারীরিক লক্ষণ
  •  অপুষ্টি ও অতি পুষ্টির কারন 
  • অপুষ্টি ও অতি পুষ্টির ক্ষতিকারক দিক
  •  অপুষ্টি ও অতি পুষ্টি থেকে বাঁচা উপায় 

অপুষ্টি ও অতি পুষ্টি শারীরিক লক্ষণ

ক্লান্তি ও অবসান হলো অপুষ্টি একটি উল্লেখযোগ্য লক্ষণ আমাদের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি থাকলে ক্লান্তি মনে হয় ও কর্ম ক্ষমতা হ্রাস পায়। শরীরের পুষ্টির ঘাটতি থাকলে মেজাজ সবসময় খিটখিটে থাকে এবং সম সময় অশান্তি লাগে। কোনো কাজ করতে লাগলে টিক মতো মনোযোগ বসে না। শরীরে স্বাভাবিক বৃদ্ধি থেমে যায় এবং শরীর শুকিয়ে যায় ।

আপর দিকে অতি পুষ্টর লক্ষণ হলো অতি পুষ্টি শারীরিক লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ওজন বৃদ্ধি। অত্যধিক ক্যালোরি খরচ শরীরে সঞ্চিত চর্বি জমার দিকে পরিচালিত করে থাকে ফলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি খরচ  করার ফলে চর্বি জমতে থাকে যার ফলে ব্যক্তির আদর্শ ওজনের মাত্রা অতিক্রম করে। স্থূলতা একটি জটিল অবস্থা যা কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা, ডায়াবেটিস এবং জয়েন্টে ব্যথা সহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।অতিরিক্ত সোডিয়াম যুক্ত খাবার যেমন প্রক্রিয়াজাত করণ এবং পাসপোর্ট পানির ভারসাম্য ব্যাহত করতে পারে এবং রক্তচাপের মাত্রাও বাড়িয়ে দিতে পারে যা বৈজ্ঞানিক ভাষ  হাইপারটেনশন নামেও পরিচিত।

অতিরিক্ত পুষ্টির ফলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাএা বাড়িয়ে তুলে । স্যাচুটেড ও ট্রাস্ন ফ্যাট সমৃদ্ধ কোলেস্টেরলের মাএা বুদ্ধি করে যাকে খারাপ কোলেস্টেরল বলা হয়ে থাকে ইত্যাদি হলো অতি পুষ্টির ফলে শরীরে হয়ে থাকে। 

অপুষ্টি ও অতি পুষ্টির কারন

অপুষ্টির একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হলো পুষ্টি জাতি এবং শর্করা জাতীয় খাবার কম খাওয়া। তা বাদে আমরা প্রাকৃতিক ভাবে কিছু পুষ্টি সংগ্রহ করে থাকে কিন্তু বর্তমান আমরা প্রকৃতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছি যার ফলে আমাদের উদ্ভিদ এবং প্রানির পুষ্টি ওপর বেশি নির্ভরশীল হতে হচ্ছে। বিভিন্ন কারণে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত পুষ্টি  জমা হতে পারে।

তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি কারণ হলো প্রয়োজনে চেয়ে বেশি খাবার গ্রহন। অতিরিক্ত প্রোটিন আমিষ শর্করা  জাতীয় খাবার বেশি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে অভাব গুলো পূরণ করে কিছু অতিরিক্ত অবস্থায় থেকে যায়।  যার ফলে আমাদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগতে হয়। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফ্যাট এবং চর্বিযুক্ত খাবার বেশি থাকে যা অতি পুষ্টির অন্যতম একটি কারণ।

অপুষ্টি ও অতি পুষ্টির ক্ষতিকারক দিক

বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীদের একটি বড় অংশ অপুষ্টির শিকার। অপুষ্টির ফলে আমাদের বিভিন্ন শারীরিক স্যামসা হয় তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য স্যামসা গুলো হলো শরীর দুর্বল লাগা। শরীর এর স্বাভাবিক রং হারিয়ে যাওয়া ও হলদে হয়ে যাওয়া। অনেক সময় অপুষ্টির ফলে মৃত্যু প্রর্যন্ত হতে পারে তাই আমাদের সাবধান থাকতে হবে যেনো শরীর ঘাটতি না হয়। 

অপর দিকে অতি পুষ্টিরো আনেক ক্ষতিকর দিকে আছে  বিশ্বের প্রতিবছর অতি পুষ্টির জন্য পাঁচজনের মধ্যে একজন মৃত্যুবরণ করছে সাম্প্রতিক কালে এক  গবেষণার ফলাফল হিসেবে এই কথা জানানো হয়েছে। এই গবেষণায় সতর্ক করা হয়েছে অতিরিক্ত চিনি, লবণ এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার কারণে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুতে প্রতিবছর। জাতিসংঘের তথ্যমতে বর্তমান বিশ্বের ১০০ কোটি মানুষ অতি পুষ্টিতে আক্রান্ত। দিন দিন শরীর এর ওজন বৃদ্ধি  পাবে।হজম শক্তি বা পরিপাক শক্তি কমতে থাকবে।শরীরের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অস্বাভাবিক প্রক্রিয়া লক্ষণ হবে।

অপুষ্টি ও অতি পুষ্টি থেকে বাঁচা উপায়

অপুষ্টি থেকে বাঁচার উপায় হলো আমাদের নিয়মিত পুষ্টি জাতীয় খাবার গ্রহন করা। বিশেষ করে ছোট শিশু দের বেড়ে উঠার জন্য পুষ্টি জাতীয় খাবার বেশি জরুলি। তাদের পুষ্টি জাতীয় খাবার এর মধ্যে রয়েছে 

বিভিন্ন ফলমুল, বিভিন্ন পুষ্টি জাতীয় মেডসিন ইত্যাদি। যা আমাদের শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। অপুষ্টি থেকে যেমন বাচার উপায় আছে তেমন অতিপুষ্টি থেকে বাচার উপায় আছে বর্তমান বিশ্ব অতি পুষ্টি একটি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। অতি পুষ্টি থেকে বাঁচার জন্য আমাদের যেসব পদক্ষেপ নেয়ার দরকার সেগুলো ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হলো,আমাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার অভ্যাস বাদ দিতে হবে।

যতোটুকু প্রযোজন সে টুকু খেতে হবে। তা বাদে আমাদের নিয়মিত  শারীরিক ব্যায়ামগুলো করতে হবে যাতে অতি পুষ্টির ফলে শরীলে যে বাড়তি মেদ,চর্বি জমা হয় তা স্থায়ী না হতে পারে । তা বাদে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অতিরিক্ত ফ্যাট এবং তেল জাতীয় খাদ্য না রাখা উচিত। প্রতিদিন সবজি জাতীয় খাদ্য খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত যেমন। আমাদের শরীরে যদি পুষ্টির পরিমাণ বেশি হয়  তাহল নিকটবর্তী কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং  পুষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিক করতে স্বাভাবিক করতে হবে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url