বাচ্চাদের চোখে কেতুর হলে করণীয় কি বিস্তারিত জানুন

বাচ্চার চোখে কেতুর হয়েছে তা নিয়ে আপনার দুশ্চিন্তা। তাহলে আমার আজকের আর্টিকেলটি শুধুমাত্র আপনার জন্য। কেননা আমার আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করব বাচ্চাদের চোখে কেতুর হলে করণীয় তা নিয়ে বিস্তারিত। আপনি যদি আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে বাচ্চাদের চোখে কেতুর হলে করণীয় তা বুঝতে পারবেন। তো চলুন আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে শুরু করা যাক বাচ্চাদের চোখে কেতুর হলে করণীয়
বাচ্চাদের চোখে কেতুর হলে করণীয়
আমার এই পোস্টটি আপনি শেষ পর্যন্ত পড়লে আরো জানতে পারবেন চোখে কেতুর হয় কেন এবং চোখের চুলকানি দূর করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত। তাই শেষ পর্যন্ত পড়্রার জন্য অনুরোধ রইলো।

পেজ সূচিপত্রঃবাচ্চাদের চোখে কেতুর হলে করণীয়

  • বাচ্চাদের চোখে কেতুর হলে করণীয়
  • চোখে কেতুর হয় কেন
  • চোখের ময়লা দূর করার ড্রপ
  • চোখের চুলকানি দূর করার উপায়
  • শেষকথা - বাচ্চাদের চোখে কেতুর হলে করণীয়

বাচ্চাদের চোখে কেতুর হলে করণীয়

চোখ আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এই চোখে যদি আপনার কোনো সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি ঠিক মতো দেখতে পাবেন না। তাই আমাদের সকলের উচিত চোখের সঠিক ভাবে যত্ন নেওয়া। প্রিয় পাঠক বড়দের থেকে ছোট বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের ওপরে যত্নটা বেশি নেওয়া দরকার কারণ একটি স্বাভাবিক মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে পরিমাণে যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন বাচ্চারা এগুলো করতে পারে না। তাই আপনার উচিত বাচ্চাদের সঠিক ভাবে প্রতিদিন যত্ন নেওয়া।

আজ আমি আপনাদের জানাবো বাচ্চাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ রোগ নিয়ে বিস্তারিত তা হলো বাচ্চাদের চোখে কেতুর হলে করণীয়।আমাদের দেশের শতকরা ৬ জন বাচ্চাদের এই সমস্যাটি হয়ে থাকে। সঠিক সময়ে আপনি যদি বাচ্চার এই চিকিৎসাটি করেন তাহলে এটা নিয়ে তেমন ভয় নেই। আপনার বাচ্চার যদি চোখে কেতুর হয় তাহলে আপনি যদি একটি চোখ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান তাহলে তারা আপনার বাচ্চার চোখ পরীক্ষা করে একটা মেসেজ করার পরামর্শ দিবে।

মেসেজটি হলো বাচ্চার দুই চোখের কোনা থেকে আপনার দুই আঙ্গুল দিয়ে চোখ থেকে নাকের নিচ পর্যন্ত টেনে নিয়ে আসবেন।এমন করে আপনি প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার মেসেজ করতে পারেন। কিছুদিন মেসেজ করার পর যদি বাচ্চাদের চোখে কেতুর দূর হয়ে যায় তারপরো আপনি সে মেসেজটি করতে থাকবেন। এই মেসেজটি আপনি সর্বনিম্ন ৫ মাস করতে পারেন। তারপর ও যদি আপনার বাচ্চার কেতুর দূর না হয় তাহলে আপনি একটি চোখ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারেন।

চোখে কেতুর হয় কেন

আপনাদের অনেকের মনে প্রশ্ন চোখে কেতুর হয় কেন তাই আমার আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের জানাবো চোখে কেতুর হয় কেন তা নিয়ে বিস্তারিত। চোখের কেতুর হলো একটি অতিরিক্ত অংশ। আমাদের সারাদিন রাস্তা ঘাটে চলচল করার সময় অনেকটা ধুলাবালি ঢুকে যায় চোখের ভেতরে। ত এই ময়লা বা ধুলাবালি গুলো চোখ ছেঁকে তা বের করে দেয়।

আর তার সাথে আমাদের চোখে থাকা জল আর সে ধুলাবালি গুলো মিলে একটি আঠালো পর্দা তৈরি করে। আমার যখন রাতে ঘুমায় আল্লাহ তায়ালার অশেষ নিয়ামতে তখন চোখের ভেতরের সব আবর্জনা গুলো বের হয়ে রাতে চোখ পরিষ্কার হয়।চোখ থেকে বের হয়ে আসা সেই ময়লা গুলো সারারাতে বাইরে এসে শক্ত হয়ে যায় যা আমরা বলে থাকি কেতুর। প্রিয় পাঠক সাধারণত এই কারণে আমাদের চোখে কেতুর হয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন চোখে কেতুর হয় কেন।

আপনি যদি বাইরে অনেক ধুলাবালির ভেতর দিয়ে চলা ফেরা করেন তাহলে আপনি খেয়াল করে দেখবেন পরের দিন সকালে আপনার চোখে কেতুর জমেছে। তাই আপনি যদি বাইরে অতিরিক্ত ধুলাবালির ভেতরে কম চলাচল করেন তাহলে এটা কমে আসবে। তাছাড়া আপনি চোখে চশমা ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার চোখে ধুলিকণা থেকে রেহায় পাবে।

চোখের ময়লা দূর করার ড্রপ

চোখে আমাদের অনেক মূলবান একটি সম্পদ। এই চোখ দিয়ে আমরা পুরো পৃথিবীতে দেখি। তবে আমাদের কাজের জন্য কিংবা ঘুরা ফেরা করার জন্য বাড়ি থেকে বাইরে বের হওয়ার প্রয়োজন হয়, তবে বাইরে রাস্তায় কল কারখানার জন্য অনেক সময় আমাদের চোখে ময়লা জমে চোখে সমস্যা দেখা যায়। তাই আমি আজকে আপনাদের জানাবো চোখের ময়লা দূর করার ড্রপ কোনটা ভালো হবে তা নিয়ে বিস্তারিত।আপনার প্রতিদিন শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য যেমন সঠিক সময়ে খাবার খান, তার পাশাপাশি শরীরের যত্ন নেন। ঠিক তেমন করে আপনি প্রতিদিনে চোখের যত্ন নিবেন।

বাইরে যাওয়ার আগে কিংবা কোনো কাজ শুরু করার আগে চোখে সানগ্লাস পড়ে নিবেন যেনো চোখে কোনো ক্ষতিকর পদার্থ না যায়। আর আপনি বাইরে থেকে কাজ শেষ করা আসা পরে চোখে ভালো মতো পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন। এতে চোখের ভেতরে জমে থাকা ধুলাবালি গুলো বের হয়ে যাবে। আর চোখের ময়লা দূর করার ড্রপ আপনি বাজারে অনেক পাবেন। তবে তার আগে আপনি একটি চোখ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে চোখের ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।

চোখের চুলকানি দূর করার উপায়

আমাদের আশেপাশে অনেকের মুখে শোনা যায় আমার চোখে অনেক চুলকায়। ত আপনার ও যদি এমন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আমার আজকের এই আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন। কেননা এবার আপনাদের জানাবো চোখের চুলকানি দূর করার উপায়। তবে তার আগে আমাদের জানতে হবে চুলকানি কেন হয়।

চুলকানি হয় আমাদের শরীরে জীবাণু জমে থাকার কারণে সেখান থেকে চুলকানি শুরু হয়। তাই আমাদের সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছনন থাকতে হবে। তার পাশাপাশি আপনার যদি চোখে চুলকানি হয়ে থাকে তাহলে এই চোখের চুলকানি দূর করার জন্য আপনি চোখের যত্ন নিতে পারেন।আপনার চোখে চুলকানি হলে হালকা কুসুম গরম পানি করে পাতলা কাপড় পানিতে ভিজে আপনার চোখে ছেঁক দিতে পারেন এটা আপনার চোখের চুলকানি দূর করতে সাহায্য করবে।

এছাড়া আপনি এলার্জি দূর করার জন্য খাবারের দিকে নজর দিতে পারেন। যে সব খাবারে এলার্জি রয়েছে বা যে খাবার গুলো খেলে আপনার চুলকানি শুরু হয় সেগুলো আপনি বাদ দিবেন। এছাড়া চুলকানি দূর করার জন্য বাজারে ড্রপ পাবেন সেগুলো আপনি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন।

শেষকথা - বাচ্চাদের চোখে কেতুর হলে করণীয়

প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষণ পড়ছিলেন বাচ্চাদের চোখে কেতুর হলে করণীয় তা নিয়ে বিস্তারিত। আশা করছি আমার আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার উপকারে আসবে। আমার এই পোস্টটি যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করতে পারেন। আর যদি নতুন কোনো বিষয়ে তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

আমার এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন আপনাদের কাছে নতুন নতুন সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করি। প্রতিদিন এমন তথ্য পেতে চোখ রাখুন আমার এই  ওয়েবসাইটে। এতক্ষণ আমার এই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url